ভুতের গল্প 1

Saturday 19 April 2014

সান্টা সিংইয়ের স্মাগলিং

সান্টা সিং বাইকে করে ওয়াঘা চেকপোস্ট দিয়ে পাকিস্তান যাচ্ছিলো। পাকিস্তানি রেঞ্জার্স ওকে আটকে জিজ্ঞেস করলো, "সর্দার, তোমার বাইকের দুপাশে যে দুটো বড়ো বস্তা ঝুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছো, সেটাতে কি আছে?"
সান্টা বললো, "জনাব, আমার দাদুর ছোটবেলার বন্ধু দেশভাগের সময় পাকিস্তানে চলে গেছিলেন। কিন্তু আজও নিজের গাঁয়ের কথা ভুলতে পারেন নি। আমি যতবারই পাকিস্তানে যাই, ওনার জন্য দুব্যাগ গ্রামের মাটি নিয়ে যেতে হয়।"
রেঞ্জার্সের অফিসার বললো, "শালা, আমাকে ঢপ দিচ্ছো? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!" বলেই গার্ডের দিকে তাকিয়ে বললো, "এই বাইক আর ব্যাগদুটো নিয়ে ভালো করে চেক কর।"

ঘন্টা দুয়েক চেক করার পরও কিছুই পাওয়া গেলো না। বাধ্য হয়ে অফিসারটা সান্টাকে চলে যেতে দিলো।
একই ঘটনা বার-বার ঘটতে থাকলো। আর অফিসারেরও রোখ চেপে গেলো যে একদিন না একদিন সান্টাকে ধরবেই। কিন্তু সান্টাকে ধরার আগেই তার ট্রান্সফার অর্ডার এসে গেলো।
বছরখানেক পর হঠাৎ করে সান্টার সাথে সেই অফিসারের দেখা হয়ে গেলো। সান্টা তখন লাহোরের এক দোকানে বসে আরাম করে মালাই দেওয়া চা খাচ্ছিল।
অফিসারকে দেখে সান্টাও খুশী হয়ে বললো, "এসো ভাই, একটা চা খেয়ে যাও।"
অফিসার সেখানে বসে সান্টাকে বললো, "দেখো ইয়ার, তোমার সাথে আমার তো মোটামুটি বন্ধুত্বই হয়ে গেছে। আর এতোদিন ধরেও আমি ধরতে পারলাম না যে তুমি আসলে কি স্মাগলিং করছিলে, যদিও আমি নিশ্চিত যে তুমি স্মাগলিংই করতে। এখন তো আর বলতে অসুবিধে নেই। দয়া করে বলবে কি তুমি কোন জিনিসটা স্মাগলিং করছিলে?"
সান্টা সিং মুচকি হেসে, চায়ে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে বললো, "মোটরবাইক!"